গঠনতন্ত্র
প্রস্তাবনা
সৃজনশীল ও প্রগতিশীল
চিন্তার মানুষের অপার বন্ধুত্ব আর ভালবাসায় স্নিগ্ধ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু
স্মৃতি পাঠাগার ছাত্র ফেডারেশন কোন গতানুগতিক ধারার সংগঠন নয়। ইহার প্রতিটি কার্যক্রম সৃষ্টিশীল, সেবামূলক, সমাজ গঠনে সহায়ক ও দিক নিদের্শনামূলক এবং
বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ আদর্শিক রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যম। অর্থাৎ এটি একটি টেকসই রােল মডেল সংগঠন হিসেবে
প্রতিষ্ঠা পেতে চায়। এই সংগঠনের প্রধান
উদ্দেশ্য সম্মানিত সদস্য এবং জনসাধারণের মধ্যে সুন্দর সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টি
সহ জাতির পিতার জীবনদর্শন ও চিন্তা চেতনা তথা আদর্শকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান যিনি স্বাধীন বাংলার স্থপতি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, লাল-সবুজ পাতাকা প্রদানকারী প্রবাদ পুরুষ। যিনি জন্মগ্রহন না করলে স্বাধীন সার্বভৌম
বাংলাদেশের জন্ম হতাে না, বাঙ্গালী পেতোনা
শৃঙ্খল মুক্তির স্বাদ। সেই মহান ব্যক্তির
স্বপ্ন ও আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিকে অম্লান রাখা এবং তার জীবনাদর্শ
তরুন প্রজন্ম সহ বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরার প্রয়াসে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি
সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার ছাত্র ফেডারেশন
বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। জাতির
পিতার অবদানসহ তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের মহৎ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে
সামনে রেখে এ সংগঠনের মহতী কার্যক্রম পরিচালিত করছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও তাঁর
আদর্শ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারে পরিচালিত এই সংগঠন সার্বক্ষনিক মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত
ইতিহাস সংরক্ষণ সহ তা প্রচার ও প্রসরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। তাছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধের
চেতনায় অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন ও সার্বভৌম গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হেতু
"বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত সোনার বাংলা" এবং
গণতন্ত্রের মানস কন্যা, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা
জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে এই সংগঠন ইতিবাচক
ভূমিকা পালন করবে।
বঙ্গবন্ধুর ভাষায়
"নেতার মৃত্যু হতে পারে, কিন্তু আদর্শের মৃত্যু হতে পারেনা। তাই একটি শান্তিপূর্ণ নিরাপদ স্বদেশ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক
সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক চেতনাকে ধারন করে সারা বাংলা সহ বিশ্বের
বিভিন্ন দেশে ২০১৮ইং সালের ২৫শে জুন এই সংগঠনের পথচলা শুরু।
ডা. এস. এম. বাদশা মিয়া ইঞ্জিনিয়ার শাহনেওয়াজ
খান মিলন
চেয়ারম্যান সাধারন সম্পাদক
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি
সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার,বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ছাত্র
ফেডারেশন, বাংলাদেশ
সূচীপত্র
ধারা ১: নামকরণ
ধারা ২: মূলনীতি
ধারা ৩: পতাকা
ধারা ৪ : লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ধারা ৫: প্রাথমিক সদস্য
ধারা ৬: সাংগঠনিক কাঠামো
ধারা ৭: কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ
ধারা ৮: জেলা ও সমমান শাখা
ধারা ৯: উপজেলা, কলেজ, পৌর ও অন্যান্য শাখা
ধারা ১০: বিভাগীয় সম্পাদক মণ্ডলীর দায়িত্ব ও ক্ষমতা
ধারা ১১: অধস্তন কমিটির উপর নিয়ন্ত্রণ
ধারা ১২ : জাবাবদিহিতা
ধারা
১৩: অন্যান্য সংগঠনের সাথে সম্পর্ক
ধারা
১৪ :
সাংগঠনিক পদ-পদবী
ধারা
১৫: নিয়ম-শূজখলা ও শান্তি
ধারা
১৬: সংগঠনের তহবিল
ধারা
১৭: গঠনতন্ত্র সংশোধন
ধারা
১৮: বিবিধ
ধারা-১। নামকরনঃ
(ক) বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের
এই সংগঠনের নাম “বঙ্গবন্ধু স্মৃতি
সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার ছাত্র ফেডারেশন বাংলাদেশ” ও ইংরেজিতে “Bongobondhu Memorial Parliament And
Bongobondhu Memorial Library Student Federation Bangladesh” সংক্ষেপে বাংলায়
“বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ছাত্র ফেডারেশন” নামে ও ইংরেজিতে “Bongobondhu Memorial Parliament Student
Federation” নামে অভিহিত হবে। সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ফোরামের
নাম হবে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ (Central Executive Committee)।অন্যান্য শাখাগুলার নামকরন হবে নিম্মরুপঃ বঙ্গবন্ধু
স্মৃতি সংসদ ছাত্র ফেডারেশন মাগুরা জেলা শাখা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখা, ঢাকা মহানগর শাখা, বঙ্গবন্ধু কলেজ শাখা ইত্যাদি।
(খ) সংগঠনের নামের ব্যবহারের ক্ষেত্রে পু্রো
নাম ব্যবহার করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে। ক্ষেত্রবিশেষ প্রয়োজনবোধে
সংক্ষিপ্ত নাম ব্যবহার করা যাবে।
ধারা-২। মূলনীতিঃ
সংগঠনের মূলনীতি
হবে আদর্শ, একতা, শিক্ষা, সততা।
জাতির পিতার আদর্শকে
বুকে ধারন করে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শিক্ষার মশাল জ্বেলে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে
বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বঙ্গবন্ধু
স্মৃতি সংসদ ছাত্র ফেডারেশন বাংলাদেশ।
ধারা-৩। পতাকাঃ
সংগঠনের পতাকা দৈর্ঘ
: প্রস্থ ৪:৩। পতাকার জমিন নীল, লাল ও সবুজ তিনটি সমান অংশে সমান্তরালভাবে
বিভক্ত। নীল রঙ শান্তি-সম্প্রীতি-একতা-বিশ্বাস-আস্থার প্রকাশক।লাল রঙ মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের রক্তের বিনিময়ে
স্বাধীনতা অর্জনের পরিচয়কে বহন করে। সবুজ রঙ দেশমাতৃকার
পরিবেশ ও প্রকৃতিকে ইঙ্গিত করে।পতাকার মাঝ বরাবর
সাদা রঙের চারটি তারকা চিহ্ন সংগঠনের চার মূলনীতি আদর্শ, একতা, শিক্ষা ও সততাকে নির্দেশ করে।
ধারা-৪। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
(১) হাজার
বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে
ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মানে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা গ্রহণ।
(২) বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তি জীবন, রাজনৈতিক জীবন ও কর্ম জীবনের দর্শন বিষয়ক গবেষণা ও প্রকাশনার মাধ্যমে সংগঠনের তরুণ সদস্যগণকে সৃজনশীল ও গণমূখী করে গড়ে তোলা।
(৩) পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু পাঠাগার স্থাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিশেষভাবে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে সোনার বাংলা গড়ে তোলার ব্রত নিয়ে সম্মিলিত ভাবে কাজ করা।
(৪) দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সহায়ক ভূমিকা পালনকারী সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করা।
(৫) দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্ম জীবনের ঐতিহাসিক ও স্মৃতিময় দিনগুলি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন/উদযাপন করা।
(৬) বঙ্গবন্ধুর জীবনী এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিনতার ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষন ও প্রচারের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের স্কুল কলেজে স্বল্প পরিসরে পাঠাগার স্থাপন করা ।
(৭) বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন বিষয়ে অনলাইন ভিত্তিক গবেষণা এবং চর্চা।
(৮) এই সংগঠনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, দেশী-বিদেশী সাহায্য সংস্থা, স্থানীয় জনগণ এবং সদস্যদের আর্থিক সহায়তায় বিভিন্ন গঠনমূলক প্রকল্প/কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।
(৯) সংগঠনের সদস্যগণকে সংগঠনের নীতি ও আদর্শ বিষয়ক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং পারস্পারিক সহযোগীতার মাধ্যমে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ।
(২) বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তি জীবন, রাজনৈতিক জীবন ও কর্ম জীবনের দর্শন বিষয়ক গবেষণা ও প্রকাশনার মাধ্যমে সংগঠনের তরুণ সদস্যগণকে সৃজনশীল ও গণমূখী করে গড়ে তোলা।
(৩) পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ও বঙ্গবন্ধু পাঠাগার স্থাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিশেষভাবে তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে সোনার বাংলা গড়ে তোলার ব্রত নিয়ে সম্মিলিত ভাবে কাজ করা।
(৪) দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সহায়ক ভূমিকা পালনকারী সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করা।
(৫) দেশের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্ম জীবনের ঐতিহাসিক ও স্মৃতিময় দিনগুলি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন/উদযাপন করা।
(৬) বঙ্গবন্ধুর জীবনী এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধিনতার ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষন ও প্রচারের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের স্কুল কলেজে স্বল্প পরিসরে পাঠাগার স্থাপন করা ।
(৭) বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন বিষয়ে অনলাইন ভিত্তিক গবেষণা এবং চর্চা।
(৮) এই সংগঠনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, দেশী-বিদেশী সাহায্য সংস্থা, স্থানীয় জনগণ এবং সদস্যদের আর্থিক সহায়তায় বিভিন্ন গঠনমূলক প্রকল্প/কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা।
(৯) সংগঠনের সদস্যগণকে সংগঠনের নীতি ও আদর্শ বিষয়ক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং পারস্পারিক সহযোগীতার মাধ্যমে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধকরণ।
ধারা-৫। প্রাথমিক
সদস্য:
বাংলাদেশের
যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রী সংগঠনের
প্রাথমিক সদস্য হতে পারেন। সদস্যপদ
লাভের জন্য স্ব স্ব জেলা শাখার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নির্ধারিত
সদস্যভুক্তির নিয়ম অনুযায়ী শপথপত্রে স্বাক্ষর করে সদস্যপদ গ্রহন করতে হবে।
ধারা-৬। সাংগঠনিক
কাঠামো:
সংগঠনের
কার্যক্রম দক্ষভাবে পরিচালনার জন্য তিন স্তরের পরিষদ থাকবে।
(ক) উপদেষ্টা পরিষদ- বঙ্গবন্ধু স্মৃতি
সংসদ ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে এই পরিষদ গঠিত
হবে। উপদেষ্টা
পরিষদ কার্যকরী পরিষদকে দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করবেন। একজন প্রধান উপদেষ্টা থাকবেন
যিনি কার্যকরী পরিষদের সভায় উপস্থিত থাকবেন এবং দিকনির্দেশনা ও মতামত প্রদান করবেন।
(খ) কার্যকরী পরিষদ কার্যকরী পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী
সংসদ নামে কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।কার্যকরী
পরিষদের সদস্যগণ সংগঠনের নীতিনির্ধারক সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং কৃতকর্মের জন্য
উপদেষ্টা পরিষদের নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন।মাসে
কমপক্ষে একবার কার্যকরী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
(গ) আঞ্চলিক পরিষদ- আঞ্চলিক পরিষদে জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, বৈদেশিক শাখা, থানা, কলেজ, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও বিদ্যালয় শাখা
অন্তর্ভুক্ত থাকবে।কার্যকরী পরিষদ
আঞ্চলিক পরিষদ পরিচালনা, দিকনির্দেশনা প্রদান
ও নিয়ন্ত্রণ করবেন।আঞ্চলিক পরিষদ তাদের
কৃতকর্মের জন্য কার্যকরী পরিষদ অর্থাৎ কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট দায়বদ্ধ থাকবে।
(ঘ) প্রত্যেক মহানগর, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়/মেডিকেল কলেজ ও বৈদেশিক শাখা কমিটি জেলার
সমমান মর্যাদা লাভ করবে।সকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের
হল কমিটি সমূহ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়/মেডিকেল কলেজ, সরকারি কলেজ কমিটি থানা কমিটির সমমান মর্যাদা
লাভ করবে।
ধারা-৭। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী
সংসদ:
(ক) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ২৫১ সদস্য সমন্বয়ে
নিম্নরুপে গঠিত হবেঃ
সভাপতি ১(এক) জন।
সহ সভাপতি ৪১(একচল্লিশ) জন
সাধারন সম্পাদক
১(এক) জন
যুগ্ম
সাধারন সম্পাদক ২৫(পঁচিশ) জন।
সাংগঠনিক সম্পাদক
২১(একুশ) জন
প্রচার
সম্পাদক ১(এক) জন।
দপ্তর
সম্পাদক ১(এক) জন।
পাঠাগার
বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
গ্রন্থনা
ও প্রকাশনা সম্পাদক ১(এক) জন।
শিক্ষা
ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন। সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১(এক) জন
সমাজসেবা
সম্পাদক ১(এক) জন।
ক্রীড়া
বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন।
আন্তর্জাতিক
বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন।
তত্ত্ব ও গবেষণা
বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
অর্থ বিষয়ক সম্পাদক
১(এক) জন
আইন বিষয়ক সম্পাদক
১(এক) জন
পরিবেশ
বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
স্কুল ছাত্র বিষয়ক
সম্পাদক ১(এক) জন
বিজ্ঞান
ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
ত্রান
ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ১(এক) জন
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
সেবা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
সাহিত্য
সম্পাদক ১(এক) জন।
বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক ১(এক) জন
আপ্যায়ন
সম্পাদক ১(এক) জন
মুক্তিযুদ্ধ
গবেষণা সম্পাদক ১(এক) জন।
কর্মসূচি
ও পরিকল্পনা সম্পাদক ১(এক) জন।
সহ-সম্পাদক ৩০(ত্রিশ) জন।
বাকি
১১০ জনের মধ্য থেকে সাংগঠনিক প্রয়োজন অনুসারে বিভাগীয় উপ-সম্পাদক ও সদস্য নির্বাচিত হবেন।
(খ) কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কার্যকাল ৩(তিন) বছর। উক্ত সময়ের মধ্যে সম্মেলন আয়োজন
করতে হবে। উপদেষ্টা
পরিষদের সম্মতি ও অনুমোদনে ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি কার্যক্ষমতা লাভ করবে। তবে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমতিক্রমে
কেন্দ্রীয় কমিটি পুনরায় পূর্ণমেয়াদে কার্যক্ষমতা পরিচালনার ক্ষমতা লাভ করতে পারবে।
(গ) প্রত্যেক জেলা, মহানগর,
সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও বৈদেশিক শাখা কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক
অনুমোদন দেবেন। সেই
সাথে সংগঠনের আওতাভুক্ত যে কোন কমিটির উপর হস্তক্ষেপ, কমিটি প্রণয়ন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন
ও বিলুপ্ত করা ক্ষমতা রাখবেন।
(ঘ) কেন্দ্রীয় কমিটি ছাত্র ফেডারেশনের নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের
উদ্দেশ্যে কর্মসূচি ও পরিকল্পনা প্রনয়ন করে তা বাস্তবায়নের
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। অধস্তন
শাখাসমুহ কেন্দ্রীয় কমিটির
নির্দেশনা মোতাবেক কর্মসূচি গ্রহন করবেন এবং নির্দেশিত কর্মসূচি ও পরিকল্পনা
সমূহ বাস্তবায়ন করবেন। সাংগঠনিক
কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির যে কোন নির্দেশনা মেনে চলতে সকল কমিটির
সকল সদস্য বাধ্য থাকবে।
(ঙ) সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি, শৃঙ্খলা,
ভাবমূর্তি, ভারসাম্য রক্ষার জন্য অথবা যে কোন বিতর্কিত
পরিস্থিতির সৃষ্টি, মতপার্থক্য, মতবিরোধ
পরিলক্ষিত হলে কেন্দ্রীয় কমিটি যে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন সেটিই চুড়ান্ত বলে গণ্য
হবে এবং উক্ত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে কোন আপিল গ্রহণযোগ্য হবে না।
ধারা-৮। জেলা ও সমমান শাখা:
(ক) ১০১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা
শাখার নির্বাহী সংসদ নিম্মরুপে গঠিত হবেঃ
সভাপতি ১(এক) জন
সহ সভাপতি ১৫(পনের) জন
সাধারন সম্পাদক
১(এক) জন
যুগ্ম
সাধারন সম্পাদক ৭(সাত) জ্ন
সাংগঠনিক
সম্পাদক ৭(সাত) জন
প্রচার
সম্পাদক ১(এক) জন
দপ্তর
সম্পাদক ১(এক) জন
গ্রন্থনা
ও প্রকাশনা সম্পাদক ১(এক) জন
শিক্ষা
ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
সাংস্কৃতিক
সম্পাদক ১(এক) জন
সমাজসেবা
সম্পাদক ১(এক) জন
ক্রীড়া
বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
পাঠাগার
বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
তত্ত্ব
ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
ছাত্রী
বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
অর্থ
সম্পাদক ১(এক) জন
আইন
বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
পরিবেশ
বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
স্কুল
ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
বিজ্ঞান
ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
ত্রান
ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ১(এক) জন
সাহিত্য
বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
আপ্যায়ন
বিষয়ক সম্পাদক ১(এক) জন
বিভাগীয়
উপ-সম্পাদক ২৩(তেইশ) জন
সহ-সম্পাদক ৭(সাত) জন
সদস্য
২৩(তেইশ) জন
খ) জেলা শাখার কার্যকাল ১(এক) বছর। থানা, সরকারি কলেজ, পৌর কমিটি জেলা কমিটির অধস্তন হবে। জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক জেলা
কমিটির অধস্তন কমিটির সভাপতি/ সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত করবেন। কমিটি গঠনে ঐক্যমতে পৌঁছাতে
না পারলে গোপন ব্যালটে নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক
নির্বাচন করা হবে নির্বাচনের ক্ষেত্রে জেলা কমিটির সকল সদস্যগণ ভোট প্রদানের অধিকার
রাখবেন।
(গ) জেলার অন্তর্ভুক্ত চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়, প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়, সরকারি মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
উপজেলা শাখার মর্যাদা পাবে।
(ঘ) সমস্ত মহানগর কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি
জেলা কমিটির অনুরূপ তাদের অধস্তন ইউনিট কমিটি গঠন ও পরিচালনা করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে হল শাখা উপজেলা
শাখার মর্যাদা পাবে।
(ঙ) জেলা কমিটির ১(এক) জন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোনীত হবেন।
(চ) প্রবাসে যেকোন দেশে শিক্ষারত বাংলাদেশের
ছাত্রছাত্রীরা কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনে বৈদেশিক শাখা কমিটি গঠন করতে পারবেন।
ধারা-৯। উপজেলা, কলেজ, পৌর ও অন্যান্য শাখা:
(ক) ৮১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি গঠিত হবে।
(খ) উপজেলা, কলেজ ও পৌর শাখার কার্যকাল এক বছর। উক্ত শাখাকে উপরিউক্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত
নেতৃবৃন্দের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে।
(গ) স্ব স্ব সাংগঠনিক উপজেলা শাখার অন্তর্ভুক্ত
বেসরকারি কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ও সাধারন
সম্পাদক, আহ্বায়ক ও যুগ্ম-আহ্বায়ক উপজেল কমিটির
অধস্তন হবে এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ কর্তৃক অনুমতিসাপেক্ষে অধীনস্থ কমিটি গঠন
করতে পারবে। প্রত্যেক
কমিটির কার্যকাল ১(এক) বছর মেয়াদী।
(ঘ) সরকারি কলেজ, বেসরকারি কলেজের
হল কমিটি সমূহ উক্ত কলেজ কমিটির অধস্তন হবে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমতিসাপেক্ষে অধীনস্থ
কমিটি গঠন করতে পারবে। প্রত্যেক
কমিটির কার্যকাল ১(এক) বছর মেয়াদী।
(ঙ) পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড শাখার
কমিটি পৌর ও ইউনিয়ন শাখার অধস্তন হবে।সিটি কর্পোরেশন
এলাকায় ওয়ার্ড কমিটি মহানগরের অধস্তন হবে কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমতিসাপেক্ষে অধীনস্থ
কমিটি গঠন করতে পারবে। প্রত্যেক কমিটির
কার্যকাল ১(এক) বছর মেয়াদী।
(চ) স্ব স্ব কমিটির অধীনস্থ
কমিটি নির্বাচনে কোন জটিলতা বা মতবিরোধ দেখা দিলে ধারা-৮ এর (খ) উপধারা অনুযায়ী তা
নির্বাচন করা হবে।
(ছ) সংগঠনের স্বার্থে সভাপতি,সাধারন সম্পাদক এবং উর্ধতন কমিটির অধস্তন যেকোন কমিটি বাতিল করে সাংগঠনিক কমিটি
গঠন করতে পারেন।
ধারা-১০। বিভাগীয় সম্পাদক
মণ্ডলীর দায়িত্ব ও ক্ষমতা:
সভাপতি: সভাপতি সংগঠন/কমিটির নির্বাহী প্রধান সভা সমূহ আহবান করার জন্য সাধারন সম্পাদককে পরামর্শ
প্রদান করবেন। যেকোন সভা বা অনুষ্ঠানে
তিনি সভাপতিত্ব করবেন। সভা সমূহের মধ্যে
কোন বিতর্ক দেখা দিলে তিনি নিজ ক্ষমতা বলে সিদ্ধন্ত ভোট প্রদান করবেন। সভাপতি প্রয়োজন
অনুযায়ী সভা মুলতবি
করতে পারবেন কিন্তু মুলতবীকৃত সভা পরবর্তী ৭(সাত) দিনের মধ্যে পুনরায় আহবান করতে হবে। সভাপতি স্বয়ং গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি কোন
কাজ করলে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনতন্ত্র রক্ষার ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করবেন।
সহ-সভাপতি: সাধারনভাবে সহ-সভাপতিগণ সভাপতিকে
তার সাধারন কার্যবিধি পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে একজন সহ-সভাপতি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
সাধারন সম্পাদক: সাধারন সম্পাদক কমিটির প্রধান কর্মসচিব বলে
গণ্য হবেন। তিনি প্রত্যেক বিভাগীয়
সদস্যদের কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করবেন। তিনি বিভাগীয় সম্পাদকগণের স্ব স্ব বিভাগের
বরাদ্দকৃত খরচে অনুমোদন দিবেন। সংগঠনের কার্যক্রম
ত্বরান্বিত করতে কর্মসূচি প্রণয়ন করবেন এবং তা বাস্তবায়নের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন
করবেন। তিনি দৈনদিন কার্যক্রম, সভা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনা ও উপস্থাপনার
দায়িত্ব পালন করবেন।
যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক: সাধারনভাবে যুগ্ম-সাধারন সম্পাদকগণ সাধারন সম্পাদককে তার সাধারন
কার্যবিধি পরিচালনায় সহযোগিতা করবেন। একজন যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সাধারন সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে
তার দায়িত্ব পালন করবেন।
সাংগঠনিক সম্পাদক: স্ব স্ব আওতাভুক্ত এলাকায় সংগঠন গড়ে তোলার
জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকগণ তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রচার সম্পাদক: সংগঠনের আদর্শ, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, সংগঠনের কর্মকাণ্ড বই, পুস্তক, পত্রিকা, গণমাধ্যম, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার
করা প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব।
দপ্তর সম্পাদক: সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করা, দাপ্তরিক কাগজপত্র সংরক্ষণ, বার্তা প্রেরণ, সংগঠনের ওয়েবসাইট পরিচালনা সহ সমস্ত দাপ্তরিক
দায়িত্ব পালন করবেন দপ্তর সম্পাদক।
পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক: পাঠাগার সম্পাদক সংগঠনের পাঠাগার বিষয় কার্যক্রম
তদারক করবেন।
গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক: সংগঠনের পত্রিকা, পোস্টার, পুস্তিকা ইত্যাদি গ্রন্থনা ও প্রকাশনার দায়িত্ব
পালন করবে।
শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক: শিক্ষামূলক সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা, বিতর্ক, কুইজ, সেমিনার, পাঠচক্র আয়োজন, প্রবন্ধ লেখা,
বক্ততা ইত্যাদি
প্রতিযোগিতার আয়জন ও উদ্যোগ গ্রহন করবেন।
সাংস্কৃতিক সম্পাদক: সংগঠনের মূল আদর্শের সাথে সঙ্গতি রক্ষা করে
বাঙালির জাতিয় সংস্কৃতিকে পরিস্ফুটিত করার লক্ষ্যে দায়িত্ব পালন করবেন।
সমাজসেবা সম্পাদক: সামাজিক, সেবামূলক ও জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম যেমন- রক্তদান কর্মসূচি,
বস্ত্র বিতরণ, বই বিতরণ ইত্যাদি কর্মসূচি আয়োজন ও পরিচালনার
দায়িত্ব পালন করবেন।
ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক: বিভিন্ন ক্রিড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহন ও পরিচালনা
করবে।
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক: আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অন্যান্য দেশের ছাত্র সংগঠনের সাথে যোগাযোগ ও সম্পর্ক
উন্নয়নের ভূমিকা পালন করবেন। বিদেশে অবস্থানরত
শিক্ষার্থীদের সাথে যোগা্যোগের মাধ্যমে বিভিন্ন সাংগঠনিক ইউনিট গড়ে তোলার ভূমিকা পালন
করবেন।
তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক: শিক্ষা, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক বিষয়ক
বিভিন্ন তথ্য ও গবেষণাপত্র সংগ্রহ ও সংরক্ষণের মাধ্যমে অন্যান্য বিভাগীয় সম্পাদকদের
সহায়তা করবেন।
অর্থ সম্পাদক: অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ক তদারকি করবেন এবং
সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে সহায়তা
করবে। বিভিন্ন
হিসাব সংক্রান্ত বিষয়াদি তদারক করবেন।
আইন সম্পাদক: আইন বিষয়ক কর্মকান্ডের
দায়িত্ব পালন করবেন।
পরিবেশ সম্পাদক: পরিবেশ সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রী এবং জনগণকে সচেতন করবেন।বৃক্ষরোপণ সহ পরিবেশ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের উদ্যোগ
গ্রহণ ও পরিচালনা করবেন।
স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক: স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে রাজনৈতিক
সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতির সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে সচেষ্ট হবেন। স্কুল পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার
আয়োজন করবেন এবং তা পরিচালনা করবেন।
বিজ্ঞান ও তত্ত্ব প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক: বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার
ও সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত কর্মসূচির দায়িত্ব পালন করবেন।
ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য দুর্যোগ সম্পর্কে
জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবেন। দুর্যোগ কবলিত এলাকায়
ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদক: স্বাস্থ্য
ও চিকিৎসাসেবা বিষয়ক দায়িত্ব পালন করবেন।
সাহিত্য সম্পাদক: সাহিত্য
সম্পর্কিত বিষয়ক দায়িত্ব পালন করবেন।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিধিবিধান অনুযায়ী সংগঠনের আদর্শ,
লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও চলমান কার্যক্রম
সম্পর্কে প্রচার ও জনমত গঠন করবেন।
আপ্যায়ন সম্পাদক: সংগঠনের
বিভিন্ন কর্মসূচির আয়ােজনে ও আপ্যায়ন বিষয়ক দায়িত্ব পালন করবেন।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা বিষক সম্পাদক: মহান
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত তথ্য, উপাত্ত, গবেষণাপত্র
সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং সাধারন ছাত্র ছাত্র সহ জনসাধারণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
উদ্বুদ্ধ করাই মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব।
কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক: বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজনের পরিকল্পনার দায়িত্ব পালন করবেন।
সহ-সম্পাদক: কেন্দ্রীয়
কমিটি কর্তৃক অর্পিত সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
সদস্য: কেন্দ্রীয়
কমিটি কর্তৃক অর্পিত সকল দায়িত্ব পালন করবেন।
ধারা-১১। অধস্তন কমিটির উপর
নিয়ন্ত্রণ:
দেশের সকল স্তরে
গঠিত সকল কমিটি এই সংবিধানের অধীন কেন্দ্রীয় কমিটির নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হবে।
ধারা-১২। জবাবদিহিতা:
কার্যকরী পরিষদ
উপদেষ্টা পরিষদের নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। অনুরূপভাবে আঞ্চলিক পরিষদের সকল শাখা কার্যকরী
পরিষদ অর্থাৎ কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট জাবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে।
ধারা-১৩। অন্যান্য সংগঠনের
সাথে সম্পর্ক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও চেতানার অনুপন্থী যে কোন সংগঠন বা সংস্থার সহযোগী সংগঠন
হিসেবে কাজ করবে ছাত্র ফেডারেশন বাংলাদেশ।
ধারা-১৪। সাংগঠনিক পদ-পদবী:
(ক) সংগঠনের পদ পদবী বহনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়
ও জেলা সমমানের কমিটির কোন সদস্য ছাত্র ফেডারেশনের একই বা ভিন্ন কমিটিতে একাধিক পদে
একইসঙ্গে দায়িত্বরত থাকতে পারবেন না।
(খ) অন্য সংগঠন বা সংস্থায়
পদ পদবী বহনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন।
ধারা-১৫। নিয়ম-শৃঙখলা ও শাস্তি
(ক) কোন সদস্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক
পরিপন্থী কোন আচরণ প্রদর্শন ও কাজ করলে, সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন হয় এমন কোন কর্ম
সংগঠিত করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সহ সংগঠনের সদস্যপদ স্থগিত থেকে
আজীবন বহিষ্কারের বিধান রয়েছে।
(খ) কমিটির যে সদস্য অপরাধ করবে তার অপরাধের
বিবরণ সংশ্লিষ্ট কমিটির পক্ষ হতে লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট পেশ করতে হবে। ক্ষেত্র বিশেষ প্রয়ােজন অনুযায়ী সাধারন
সদস্য ও জনসাধারণ দ্বারাও কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট পেশ করা যাবে।
(গ) অভিযুক্ত সদস্যের বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি
তদন্ত কমিটি গঠন করে অথবা নিজস্বভাবে তদন্ত পরিচালনা করে শাস্তি অথবা অভিযোগ হতে অব্যাহতি
প্রদান করবেন।
(ঘ) সংগঠনের ভাবমূর্তি
ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার নিমিত্তে এবং শাস্তির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কমিটি যে সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করবে সেটিই চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
(ঙ) সংগঠনের গঠনতন্ত্রের নিয়ম লঙ্ঘনকারীকে বিনা কারন
দর্শানো নোটিশে বহিষ্কারের বিধান রয়েছে।
ধারা-১৬। সংগঠনের
তহবিল
(ক) চাঁদা, সদস্যদের চাঁদা,
এককালীন অনুদান, ছাত্র ফেডারেশনের প্রকাশিত পুস্তকের
বিক্রয়লব্ধ
অর্থের
মাধ্যমে সংগঠনের তহবিল গঠিত হবে।
(খ) যথাযোগ্য রশিদ ও অনুমতিপত্র ব্যতিত কেহই ছাত্র ফেডারেশনের
তহবিল সংগ্রহ করতে পারবে না।
(গ) সংগঠনের কোন সদস্য সংগঠনের স্বার্থে দুর্ঘটনায় পতিত
হলে, আহত হলে, বিপদগ্রস্ত হলে ক্ষতিগ্রস্ত
সদস্যের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির সহায়তায় তহবিল গঠনের মাধ্যমে যথাসাধ্য সহযোগিতা করার
চেষ্টা করা হবে।
ধারা-১৭। গঠনতন্ত্র
সংশোধন:
(ক) বিশেষ কারনবশত গঠনতন্ত্র সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংযোজনের প্রয়োজন হলে উপদেষ্টা
পরিষদের পরামর্শক্রমে ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সংশোধিত হবে।
(খ) গঠনতন্ত্রের কোন অস্পষ্টতায়, বিভ্রান্তিতে অথবা কোন ধারা, উপধারা, বাক্যের অর্থে মতপার্থক্য দেখা দিলে কেন্দ্রীয় কমিটি যে সিদ্ধান্ত প্রদান
করবেন সেটিই সঠিক বলে গণ্য হবে।
ধারা-১৮। বিবিধ:
(ক) প্রতি কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক মাসে ৫০টাকা,
বিভাগীয় সম্পাদক মণ্ডলী ৩০টাকা, উপ-সম্পাদক মণ্ডলী ২৫ টাকা এবং সহ-সম্পাদক ও সদস্যগণ ২০
টাকা হারে প্রতি মাসে স্ব স্ব কমিটির নিকট চাঁদা প্রদান করবে। যা সংগঠনের বিভিন্ন কর্মসূচি
আয়োজনে ও উন্নয়ন তহবিলে ব্যয় হবে। সেই
সাথে প্রতি কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক প্রত্যেকে বাধ্যতামূলক এককালীন ৫০০(পাঁচশত) টাকার বিনিময়ে সদস্যভুক্তির ফর্ম পূরণ করবে। উক্ত অর্থ কেন্দ্রীয় কমিটির
কার্যক্রম পরিচালনার ব্যয় ধরা হবে।
(খ) কেন্দ্রীয় কমিটি সহ সকল ইউনিটের কোন সদস্য
সংশ্লিষ্ট কমিটির সাধারন সভা বা কর্মসূচীতে একাদিক্রমে ৩ বার অনুপস্থিত থাকলে তার বিরুদ্ধে
উক্ত কমিটি সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার এখতিয়ার রাখবে।
(গ) যদি কোন
ইউনিটের কার্যক্রম গতিশীল বা সন্তষ্টিজনক না হয় তবে কেন্দ্রীয় কমিটি বিনা কারন দর্শানো
নোটিশে উক্ত কমিটির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ এমনকি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার
ক্ষমতা রাখবে।
(ঘ) কোন ইউনিটের মধ্যে কোন মতবিরোধে, সুনির্দিষ্ট মতামতের অভাব অথবা অচলাবস্থার সৃষ্টি হলে তা
কেন্দ্রীয় কমিটির সহায়তায় নিরসন করতে হবে।
(ঙ) সাংগঠনিক সকল কার্যে সকল ইউনিট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী
সংসদকে অনুসরণ করবে।
কোন মন্তব্য নেই